নিজস্ব প্রতিবেদক:: ফ্রান্সে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (স.) এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে ধরাধরপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে রবিবার সকালে সিলেট নগরীর চন্ডিপুলে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমা বিভিন্ন এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যানার, ফেষ্টুন নিয়ে চন্ডিপুলস্থ আব্দুস সামাদ চত্ত¡রে জড়ো হতে থাকেন। মানববন্ধন শুরু থেকেই গোটা চন্ডিপুল এলাকা লোকেলোকারণ্য পরিণত হয় ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসনের সাবেক যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক পরিচালক সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল।
দক্ষিণ সুরমা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কামালের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্টিজ এর পরিচালক হুমায়ুন আহমদ, হাজী জয়নাল আহমদ মেম্বার, বিশিষ্ট মুরব্বী হাজী সফিক মিয়া, হাজী আবুল বসর, খায়রুল ইসলাম, শওকত আহমদ, মাসুক মিয়া, জামাল উদ্দিন, শিক্ষাবিদ গোলাম কিবরিয়া, আশরাফ আলী মাস্টার, ছাব্বির আহমদ, ধরাধরপুর হাজী শফিনা বিবি মাদ্রাসার পরিচালক হাফিজ রাসেল আহমদ, পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ইমান রব্বানী, হাফিজ ছাব্বির আহমদ, আলতাজ আহমদ, শাহজাহান মিয়া।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করেন ধরাধরপুর হাজী শফিনা বিবি মাদ্রাসা, জামেয়া মুহাম্মদিয়া তেতলী টিলাবাড়ী মাদরাসা, প্রজন্ম স্পোর্টস এন্ড কালাচারাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম ক্লাবের উপদেষ্টা নিজাম খান, সভাপতি ফয়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান তমাল, জাহাঙ্গীর আলম সেলিম, আব্দুল মুকিত, ছামান আহমদ ছামাদ, রায়হান আহমদ কয়েছ, সহ সভাপতি দিলোয়ার আহমদ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃইমরান আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃজুনেলআহমদ আরিফ,সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুয়াদ আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক, মোঃসৌরভ আহমদ,দপ্তর সম্পাদক আশফাক আহমদ,ধর্ম সম্পাদক মোঃ মাহের আহমদ,সমাজ সেবা সম্পাদক মোঃ তফুর রাইয়ান রুহান, কার্যনির্বাহী সদস্য হিমেল আহমদ রুমেল প্রজন্ম ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরান আহমদ, ইমরান আহমদ ইমরুল, আব্দুর রহিম আহমদ, সৈয়দ শরিফ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে অপমান করার জন্য কার্টুন/ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ফ্রান্স সরকার কঠিন অপরাধ করছে। এজন্য ফ্রান্স সরকারকে অনতিবিলম্বে বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলমানরা শান্তি প্রিয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশ্বাসী। এজন্য বিশ্বের কোথাও কোনো মুসলমান অন্য কোন ধর্মকে নিয়ে কোনও ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেননি। এমনকি কোনো সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম রাষ্ট্রেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি কোন রকমের অন্যায় করা হয়নি। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় কিছু অপশক্তি, সন্ত্রাসী চক্র বিদ্বেষ ছড়াতে এবং সা¤প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করে পৃথিবীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য পরিকল্পিতভাবে আল্লাহ, ইসলাম ও নবীকে নিয়ে নানা রকম কটুক্তি, ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও অবমাননাকর আচরণ করে যাচ্ছে।